হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) মসজিদ
সূরা-৬৩ : আল-মুনাফিকুন; আয়াত: ১০আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো। সে সময় সে বলবেঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।
জনাব, আসসালামু আলাইকুম। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হালিশহর বি-ব্লক পানির ট্যাংক ও মহেশ খাল সংলগ্ন হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) জামে মসজিদে গত ৪০ বছর ধরে মসজিদ সংলগ্ন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ নিয়মিত সালাত আদায় করছিলেন। সম্প্রতি সরকারের ‘জলবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশন এবং মহেশ খালের উভয় পাড়ে রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য গত ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ এ মসজিদটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলা হয়। মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার পর মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মুসল্লীগণের সালাত আদায়ের জন্য সাময়িক একটা জায়গার ব্যবস্থা করা হয় যেখানে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ অনেক কষ্ট করে সালাত আদায় করেন। বিশেষ করে গত রমজান মাসে (২২ মার্চ ২০২৩ - ২১ এপ্রিল ২০২৩) মুসল্লীগণ অনেক কষ্ট স্বীকার করে সালাত আদায় করেন।
মসজিদের পূর্বের অবস্থান তথা মহেশ খালের অপর পার্শ্বে বি-ব্লক ১ নম্বর রোডের মাথায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অবন্দোবস্তকৃত ৫ কাঠা (৩৬০০ বর্গফুট) জমি রয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হতে উক্ত ৫ কাঠা (৩৬০০ বর্গফুট) জমি মসজিদের অনুকূলে স্থায়ীভাবে বরাদ্দ প্রদানের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
মসজিদ কমিটির চেষ্টা ও তদ্বিরের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৪৩তম বোর্ড সভায় মসজিদ নির্মাণের জন্য উক্ত ৫ কাঠা জমি শর্তসাপেক্ষে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। শর্তানুযায়ী প্রতি কাঠা ২৫ লক্ষ টাকা হিসেবে ৫ কাঠা জায়গার সরকার নির্ধারিত মূল্য ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা আগামী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, ৫ কাঠা জায়গার জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্য ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা এবং রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য খরচসহ আরো আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে। জুম’আ বারের দান ও অন্যান্য এককালীন দান ব্যতিত মসজিদের আর অন্য কোনো আয়ের উৎস নেই। ফলে মসজিদের নিয়মিত দানের অর্থ দিয়ে সরকারের কাছ থেকে স্থায়ীভাবে জমি বরাদ্দ নেয়া একেবারেই অসম্ভব। এ পরিপ্রেক্ষিতে মুসল্লীগণের নিয়মিত সালাত আদায় এবং এতীম, দরিদ্র ও অসহায় বাচ্চাদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও হেফজের লক্ষ্যে সরকারি জমি খরিদ ও মসজিদ পুনঃনির্মাণের জন্য আপনাদের মত আল্লাহভীরু, তাক্বওয়াবান ও মু’মিন ব্যক্তিদের স্মরণাপন্ন হয়েছি। মসজিদ নির্মাণে দানকারির বিষয়ে পবিত্র হাদীসে সুসংবাদ রয়েছে [সহীহ বুখারী ৪৫০ ও সহীহ মুসলিম ৫৩৩]।
হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করবেন, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। এমতাবস্থায়, মুসল্লীগণের নিয়মিত সালাত আদায় এবং এতীম, দরিদ্র ও অসহায় বাচ্চাদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও হেফজের লক্ষ্যে সরকারের কাছ থেকে স্থায়ীভাবে জমি খরিদ ও মসজিদের বহুতল ভবন পুনঃনির্মাণের মত মহৎ কাজে সাধ্যমত দানের মাধ্যমে শরীক হওয়ার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সবিনয় আবেদন জানাচ্ছি।
বিনীত নিবেদক
উপসচিব
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়